Coming out in inverted commas because I'm unsure as to how I feel about the term. No one should feel obligated to declare their sexuality - it is a very personal thing. However, we live in a world where people are assumed heterosexual until they assert otherwise, and as such coming out is often a practical thing you have to do. How can we expect to obtain our rights, without first asserting that we exist?

Wednesday 27 June 2012

আমার নিজের উভকামিতা বোঝা, ২য় অংশ

আমি তের বছর বয়েস থেকেই আমার যৌনতা নিয়ে অনেক কষ্টে ছিলাম। আমি ওই সময়ে উভকামিতা শব্দটা ইংরেজিতে না জানলেও জানতাম নিশ্চিত ভাবে যে আমি দুই লিঙ্গের মানুষের প্রতি আকর্ষণ বধ করি। কিন্তু আমি নিজের এ রুপ বেশ অনেক বছর ধরে গ্রহন করতে পারি না। আমি শুরুতে ভাবতাম যে আমি আমার পুরুষ মানুষের প্রতি আকর্ষণ লুকিয়ে রাখতে পারব, এবং অন্য মানুষেরা জারা সম লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট না তাদের মতনই জীবন জাপন করে জেতে পারব।

আমি এইরখম চিন্তা ভাবনা নিয়েই আবার ইউরোপে আসি কয়েক বছর পর আমার পরিবারের সঙ্গে। ইউরপেই আমি প্রথম বাইসেক্সুয়াল শব্দটি শিখি, এবং বুঝি যে এটা আমাকে বর্ণন করে। আমার নিজের প্রক্রিতির জন্য একটা বিশেষ শব্দ আবিশকার করার পর আমার অবশেষে নিজের যৌনতার সাথে মুখমুখি হতে হয়। আমি আমার আকর্ষণ পরীক্ষা করতে গিয়ে বুঝি যে ব্যাপারটা আমার জন্য কতটা বিভ্রান্তিকর। আমি শুধু এইটুকুর ব্যাপারে সহজে লিখতে পারি - যে আমি দুই লিঙ্গের মানুষের প্রতি আকর্ষণ বধ করি। এর বাইরে আমার আকর্ষণের কথা আমার পক্ষে বুঝিয়ে বলা, সেটা ইংরেজিতে হোক বা বাংলায় হোক,বেশ কঠিন। আমি এখন শুধু এটুকুই বলতে চাই - যে আমার দুই লিঙ্গের প্রতি যে আকর্ষণ সেটা ক্রমশ বারে-কমে। এটা আমার জন্য আগে বেশ নৈরাশার কারন ছিল। এখন অবশ্য আমি আমার আকর্ষণের প্রক্রিতি নিয়ে সন্তুষ্ট, এবং আমার মহিলা অথবা পুরুষদের প্রতি আকর্ষণ কেন বারে-কমে তাও অনেকটা বুঝি। আমি এখানে এতটুকুই লিখতে চাই, এবং আমি খুব সম্ভবত এ নিয়ে পরে পুর আরেকটা পোস্ট লিখব।

যাই হোক, যৌনতা এবং আকর্ষণ নিয়ে আমার বিভ্রান্তি বেশ কয়েক বছর ধরে ছলে, এবং এই বিভ্রান্তি আমার নিজেকে গ্রহন করতে পারার পথে রুক্ষে দারায়। কিন্ত আমার সব সমস্যা যে শুধুই আমার মনের ভেতর ছিল তা না, আমার বাড়িতেও আন্যান্য সমস্যা মোকাবেলা করতে হত। আমার আব্বু-আম্মু কখনো সমকামভীতির আচারণ না করলেও তাদের কিছু কিছু বিশ্বাস খুবি নিয়ন্ত্রণমূলক ছিল। তারা আমাকে বলত যে আমার ভবিষ্যতে একি ধর্মের এবং সমাজের একজন মেয়ে কে বিয়ে করা উচিত। অবশ্যই বড় হওয়ার পরে, হয়তো ২৪ বছর বয়সে। এবং এর আগে কোন মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জরানো উচিত না...শুধুই হাত-পা গুটিয়ে বশে থাকা উচিত। আমার ভাজ্ঞ ভাল যে আমার জীবন তাদের এ মতামত ধরে চলেনি, এবং এখনো চলছে না। আমি চোদ্দ বছর বয়েসে আমার প্রথম গারলফ্রেন্ড কে ডেট করে শুরু করি। আমার বেশ কয়েকে দিন ভালই কাটে, এবং আমার গারলফ্রেন্ড কে ডেট করার সময় আমার পুরুষদের প্রতি আকর্ষণ অনেকই কমে যায়। কিন্তু আমার যে গার্লফ্রেন্ড আছে এটা এক পর্যায় আমার আব্বু-আম্মু বুঝে ফেলে। তারা যে এ খবর জানতে পেরে খুব রাগ করে এবং তখনই আমার অনেক ধরণের সমস্যা শুরু হয়। আমার এখন আর খেয়াল নেই আব্বু-আম্মু আমাকে আমার গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঠিক কি কি বলেছিল, কিন্তু এক পর্যায় তারা আমাকে সাবধান করে যে আমি যে একজন সাদা চামড়ার মেয়ে কে ডেট করছি এ জন্য আমাকে যে কোন মুহূর্তে অন্য সাদা চামড়ার মানুষেরা রাস্তায় পিটিয়ে মেরে রেখে যেতে পারে। আমার আব্বু-আম্মু যে ভাবে আমরা এখনো জাতিবিদ্বেষ আফ্রিকায় বাশ করি এ কথাটা আমার নিজের মাথায় ঢুকতে না ঢুকতেই তারা আমাকে জিজ্ঞেশ করে বশে যে আমি এ মেয়ে কি পরিবার থেকে আসে তা না জেনেই কিভাবে তাকে ডেট করা শুরু করি। এবং আমি যখনই চিন্তা করা শুরু করি যে এরা আমাকে শাস্তি হিশাবে এ মেয়ের সাথে বিয়ে দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে নাকি, তারা আমাকে বলে যে পনের বছরের বাচ্চাদের কোন সম্পর্কে জড়ান উচিত না, আর বয়ঃসন্ধিকালীন অনুভতি ও আকর্ষণের কথা বাত্রা পুরপুরি এরিয়ে যায়।


আমি আমার পোস্টটা একটু হাস্যকর ভাবে লেখার চেষ্টা করছি, কিন্তু আমার এখনো আমার আব্বু-আম্মু তখন যে সমস্ত কথা বলেছিল তা মনে পরলে বেশ খারাপ লাগে। রাগে তাদের অনেক বর্ণ ও শ্রেণি ভিত্তিক কুসংস্কার বেরিয়ে আসে। শুধু তাই না, তাদের ভাব ভঙ্গি এমনই ছিল যেন তারা জানতো না যে তখনকার কমবয়সী ছেলে মেয়েরা কিভাবে চলাফেরা করত, এবং আমি ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বড় হওয়ার ফলে আমি কি ধরণের মানসিকতার মানুষ হতে পারি। আমার অবশ্য এটা বলতে হয় যে আমার আব্বু-আম্মু ওইরখম আচার-আচারণ এখন আর করে না। আমার আম্মু এখন অনেকটাই মেনে নিয়েছে যে আমার নিজের মানসিকতা সাধারণ বাংলাদেশী সাংস্কৃতির থেকে অনেকই ভিন্ন, এবং আমার আব্বু আন্তত এটা স্বীকার করে যে আমার নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত আমার নিজেরই নিয়া উচিত। কিন্তু তখনকার সব ঘটনার পর আমি আমার আব্বু-আম্মুর প্রতি অনেক সম্মান ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলাম। এতদিন পর আমাদের সম্পর্ক এখন আগের চেয়ে অনেকই ভাল, কিন্তু বিশ্বাস আমি এখনও তাদেরকে করিনা। বলার কোন উপেক্ষা রাখেনা যে আমার আব্বু-আম্মু জানার পর ওই মেয়ে এবং আমার খুব দ্রুত ব্রেক-আপ হয়ে যায়। এবং তখন আমি নিজেকে জিজ্ঞেশ করি - একটা বিদেশী মেয়ের ব্যাপারেই যদি তারা এই রখম প্রতিক্রিয়া দেখায়, তাহলে একটা ছেলের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে? এ প্রশ্নের উত্তর আমার নিজেকে মনের ভিতরও দেয়ার কোন দরকার হয় না।

আমার জন্য বাড়ির বাইরের অবস্থা অত জটিল ছিল না। আমি সবার কাছ থেকে আমার যৌনতার কথা লুকিয়ে রাখতাম, কিন্তু এ কারনে আমার স্কুলে এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে মিশ্তে কখনও তেমন কোন সমস্যা হত না। স্কুলে তেমন কোন সমকামভীতি ছিল না, একটা কি দুইটা ছেলেকে অনেকে সমকামি ভাবলেও তাদেরকে কেউ খুব একটা জ্বালাতন করত না। এমন কি আমাদের যৌন শিক্ষার একটা ক্লাসে খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে এক পর্যায় আমাদের পুরুষ সমকামিতার কথা বলা হয়। এটা আমার সমকামিতার ব্যাপারে যতখানি শিক্ষা দরকার ছিল সেটা প্রদান না করলেও এমন একটা ভাব তৈরি যে সবার চেয়ে অন্য রখম হওয়াতে কোন ভুল নাই। এবং আমি এখন মোটামোটি নিশ্চিত যে আমার তখনকার বেশীর ভাগ বন্ধুবান্ধবই আমার উভকামিতা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাত না। অনেকেরই অন্য LGBTQ বন্ধুবান্ধব ছিল, এবং তাদের ব্যাপারে হয়তো নূতনত্ব নিয়ে কথা বলত কিন্ত কখনও কুসংস্কার নিয়ে না। কিন্তু এ সমস্ত প্রসঙ্গ আমাদের কারোর জন্যই তখন অতটা বড় কিছু ছিল না, এবং মিডিয়াতেও তখন এ প্রসঙ্গ নিয়ে অতটা লেখা লেখা হত না। এ সবের সাথে এটাও সত্যি যে আমি যেহেতু আমার যৌনতা তখন লুকিয়ে রাখতাম, আমি এসব বিষয় এড়িয়ে চলতাম। আমার এখন ধারণা যে এ কারনেই আমি ইউরোপে থাকতে কারোর কাছ থেকে কোন সাহায্য চাই নি, যদিও আমি ওখানে খুব সম্ভবত সাহায্য পেতাম।

এক বছর পর আমরা ইউরোপ থেকে আবার দেশে চলে আশি, এবং আমি আবার নতুন করে কলেজ শুরু করি। দেশে কলেজেই আমি প্রথম আমার সমকামি আকর্ষণ নিয়ে ইসলাম কি বলে সেটা আবিষ্কার করার চেষ্টা করি। তবে আমি যে ইসলামের সমকামিতা নিয়ে মতামত বোঝার খুব কঠিন চেষ্টা করি তা নয়। কলেজে একবার কি দুবার সমকামিতা নিয়ে কথা হয়, এবং তখন আমার বন্ধুবান্ধবরা কোরান সম্পর্কে যা জানে বা শুনেছে সেই প্রেক্ষাপটে সমকামিতা কেন ভুল তা নিয়ে কিছু কথা বলে। এটা এমন কোন বড় ঘটনা ছিল না, কিন্তু আমি এই থেকেই আমার ইসলাম ও সমকামিতার সব মতামত গরে তোলা শুরু করি। আমি নিজেকে ব্যাপারটা এভাবে বুঝিয়ে বলিঃ ইসলামের চোখে বিয়ের বাইরে একজনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করা ভুল। এর উপর বিয়ে শুধু সম্ভব মহিলা এবং পুরুষের মধ্যে। তার মানে ইসলামের চোখে দুজন মহিলা বা দুজন পুরুষের কখনই কোন বৈধ দাম্পত্যর সম্পর্ক থাকতে পারে না। এ কথা গুলো ঠিক না ভুল তার বিশ্লেষণ এখানে করতে চাই না - আমি তখন কি ভাবতাম শুধ সেটা লিখছি। এখন যদি আমি তখনকার কথা মনে করে দেখি, আমি খেয়াল করি যে আমি পুরপুরি সমকামি মানুষের বিয়ে বা তাদের মাঝে প্রেম, ভালোবাসা ও আন্যান্য অনুভূতির কথা পাশ কেটে গেছিলাম, এবং এসব নিয়ে কোরান এ কিছু লেখা আছে নাকি না সেটাও খুজে বের করার চেষ্টা তখন করিনি। আমি শুধুই সেক্সের প্রেক্ষাপটে সমকামি সম্পর্কের কথা ভেবে দেখেছিলাম, এবং ধরে নিয়েছিলাম যে সমকামি সম্পর্ক ভুল কারন সমকামি সেক্স ইসলামে কখনও ঠিক হতে পারে না। এর চেয়ে গভিরে যাওয়ার চেষ্টা আমি করিনি। হ্যাঁ, আমার কিছু ভয় ছিল যে আমি এ নিয়ে যা উত্তর পাব তা আমার পছন্দ হবে না। কিন্তু তার সাথে এটাও সত্যি - আমি তখন ইসলাম সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না, এবং এতো সব কিছুর উত্তর আমার বের করতে গেলে আমার আবশ্যই কারোর সাহায্য নিতে হত। আর এ থেকে হয়তো করোর আমার ব্যাপারে সন্দেহ জাগত। আমি এ ঝুকিতে না জেতে চাওয়ার জন্যও এ পথ ধরে বেশি দূর তখন এগিয়ে যাই নি।

আমি আর একটা বিষয়ে উপর কথা বলে এ পোস্ট শেষ করতে চাই। আমার এখন মনে হয় যে আমার সেক্সের প্রেক্ষাপটে সব কিছু দেখার করন ছিল যে আমি তখন সমকামিতার ব্যাপারে যা জানতাম সব কিছুই দুঃখজনক ভাবে পর্ণ থেকে আসত। আমি যেহেতু তখন ভাবতাম আমার আকর্ষণের সমকামি অংশটুকু ভুল, আমি এ দিকে ঘেরতাম মাঝে সাঁঝে শুধুই শারীরিক, যৌন তৃপ্তির জন্য। এবং এ কারনে সমকামিতার ব্যাপারে আমার অন্য কিছু জানা হয়েছিল না ওই পরজায় আমার LGBTQ শঙ্ক্রান্ত সব গ্যান ছিল পর্ণ থেকে আসা। এটা অবশ্যই আমার জন্য কোন ভাল অবস্থা ছিল না। আমার যদি ওই বয়েসে অন্য কোন ধরনের নির্দেশন থাকত, আমি হয়তো আমার যৌনতার ব্যাপারটার আরও আগে ভাল মতন বুঝতে পারতাম। কিন্ত আমি যেহেতু এ নির্দেশন না পাওয়ার ফলে আমি আরও বেশ কয়েক বছর ধরে নিজেকে গ্রহন করতে ব্যর্থ হই।

No comments:

Post a Comment